• Breaking News

    IELTS রাইটিং এর মার্কিং ক্রাইটেরিয়া সম্পর্কিত টিপস

     


    IELTS রাইটিং এর মার্কিং ক্রাইটেরিয়া সম্পর্কিত টিপস:

    ● রাইটিং এ কোন নিউম্যারিক্যাল মার্কস নেই যেমন কিনা লিসেনিং বা রিডিং এর বেলায় 40 মার্কস আছে। রাইটিংয়ে এক্সামিনার মার্কস দেয় চারটি ক্রাইটেরিয়ার উপর ভিত্তি করে। আর সেটা পয়েন্ট আকারে 9.0-এর মাঝে।
    ● অনেকে অল্প সময়ে রাইটিং ভালো করতে চান। তবে অল্প সময় হলে, অন্ধের মত রাইটিং এর সব দিক ডেভেলপ করাটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই কারো সময় কম হলে মার্কিং এর চারটি ক্রাইটেরিয়া গুলো ভালো করার দিকে নজর দেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

    ● IELTS রাইটিং এর চারটি মার্কিং ক্রাইটেরিয়া গুলি:

    1. Task achievement (TA): যে কয়টা শব্দে রাইটিং টাস্ক লিখতে বলেছে সেটা অবশ্যই পুর্ণ করা। রাইটিং টাস্ক ২ টি থাকে। রাইটিং টাস্ক#১ মিনিমাম ১৫০ শব্দ এবং রাইটিং টাস্ক#২ মিনিমাম ২৫০ শব্দ লিখতে হবে। বেশী হলে সমস্যা নাই কিন্তু কম হলে সমস্যা। প্রশ্নে উল্লেখিত সকল প্রসঙ্গ যথাযথ ভাবে আপনার লেখা কাভার করেছে নাকি বাদ পড়েছে কিছু সেগুলার উপর ভিত্তি করেও মার্কিং হয়।
    2. Cohesion and Coherence (CC): টু দ্যা পয়েন্টে লিখবেন। অপ্রাসঙ্গিক কিছু নয়। আলোচনার গতি যেন সাবলীল ও প্রাসঙ্গিক হয়। প্যারাগুলো যেন প্রসঙ্গ অনুযায়ী সাজানো হয়। রাইটিং টাস্ক লিখার সময়ে যথাযথ জায়গায় সাদৃশ্য, বৈসাদৃশ্য, প্রসঙ্গ পরিবর্তন ইত্যাদি করার সময়ে যথাযথ লিংকিং/ট্রাঞ্জিশনাল ওয়ার্ড ব্যবহার করুন, যেমন: Conversely, nevertheless, in spite of, furthermore, ইত্যাদি । রাইটিংয়ের মাঝে প্রসঙ্গ হুট করেই পরিবর্তন না করে যথাযথ লিংকিং/ট্রাঞ্জিশনাল ওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করুন।এসবের উপর ভিত্তি করে মার্কিং হয়।
    3. Grammatical range and accuracy (GR): বাক্য গুলা যেনো গ্রামাটিক্যালি শুদ্ধ হয়। দাড়ি কমা (punctuation) ঠিক-ঠাক না দেবার জন্যও মার্ক্স কাটবে। বানান যেনো কম ভূল হয়। আর 7+ পেতে হলে সবচে বড় হাতিয়ার হচ্ছে কম্পলেক্স সেন্টেন্স লেখা। এর জন্য আলাদা মার্কস থাকে। ছোট একটি সিম্পল সেন্টেন্স থেকে কিভাবে বড় কমপ্লেক্স সেন্টেন্স লিখবেন, সেটা উদাহরণের মাধ্যমে ভেঙ্গে ভেঙ্গে শেখার জন্য দেখতে পারেন: https://bit.ly/3A2dn7P
    4. Lexical resources (LR): ভোক্যাবুল্যারি ব্যবহার করার জন্য আলাদা মার্কস থাকে। হাতে সময় না থাকলে আপনার ১০০০ টা ওয়ার্ড শিখার দরকার নাই। কেবল 50 টা অত্যন্ত ব্যবহৃত হয় এমন কয়েকটি ওয়ার্ড আর তার সিনোনিম শিখে সেই 50 টা থেকে অন্তত 15/20 টা লেখায় আনার ট্রাই করেন। যাদের হাতে প্রিপারেশনের জন্য একদম সময় কম তাদের জন্য ওই পদ্ধতিটা বেশ কার্যকর হতে পারে। আর যাদের হাতে অফুরন্ত মাসের পর মাস প্রিপারেশনের সময় আছে, তারা চাইলে নিজের সামৰ্থ অনুযায়ী যত বেশি পারেন ভোক্যাবুলারি শিখে লিখায় চর্চা করার চেষ্টা করুন।
    ● যেমনঃ poor মানে গরিব, এটার বদলে impoverished ইউজ করুন। peace (শান্তি) এর বদলে tranquility, difficult এর বদলে gruelling, similarity (সাদৃশ্য) এর বদলে analogy ইত্যাদি এইভাবে 50 টা কমন শব্দ লিস্ট করেন এবং পরীক্ষায় যদি 50 টার মধ্যে 10 টাও ইউজ করতে পারেন ক্ষতি কি?
    ● আপনার সীমিত স্টক টাকেই বুদ্ধিমত্তার সাথে ব্যবহার করতে হবে। প্রিপারেশনের সময় কম হলে স্মার্ট-ওয়ার্কিং করা ভাল, তবে সময় অফুরন্ত থাকলে হার্ড-ওয়ার্কিংই বেস্ট।
    ● রাইটিং এক্সামিনার TA, CC, GR ও LR এই চারটি ক্রাইটেরিয়ার উপর আলাদা পয়েন্টে মার্কিং করে তারপর গড় নিয়ে ওভার-অল পয়েন্ট কাউন্ট করেন। এই চারটি রাইটিং মার্কিং ক্রাইটেরিয়া মাথায় নিয়ে প্রিপারেশন নিয়েন। লেখাটি কপি করলে অনুগ্রহ করে 'কালেক্টেড/ সংগৃহিত' না লিখে, ক্রেডিট সহ উল্লেখ করুন।


     ধন্যবাদ।
    ©Md Nazmul Hasan Topu, UBC, Canada